বিদ্যালয়ের কমিটিকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির কুচক্র মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাই Share কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, মোঃ মোমিন ইসলাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি পরিবর্তন প্রসঙ্গে গত ৩০ মার্চ অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। উক্ত সমাবেশে স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এবং পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি এ এইচ এম আব্দুল্লাহ টিপুকে নিয়ে নানান কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেন বক্তারা। তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার পান্টি – লালন সড়কস্থ পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী লম্বা লাইনে দাড়িয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন বিভিন্ন এলাকার সর্ব সাধারণ।  এসময় পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এ এইচ এম আব্দুল্লাহ টিপু’র সভাপতিত্বে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হাসান রিন্টু, কুমারখালি উপজেলা যুবলীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তরুন, চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু, বাঁশগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক আলী হোসেন, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন মিয়া, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শতশত জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গত ৩০ শে মার্চ জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফরের নেতৃত্বে যে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উসকানীমুলক। সেখানে ভিত্তিহীন ও কুৎসা রটানো প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্তি করা হয়েছে। তারা আরো বলেন, সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে যোগ্য ব্যক্তিকে দিয়ে পান্টি বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনিত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের কমিটিকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির কুচক্র মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাই এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চাই। জানা গেছে, গত ৩ মার্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ মার্চ যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ এইচ এম আব্দুলাহ কে সভাপতি, মোছাঃ শিউলী সুলতানাকে সাধারণ শিক্ষক সদস্য, মোঃ আজাদুল ইসলামকে অভিভাবক সদস্য ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সদস্য সচিব হিসাবে ৬ মাসের জন্য একটি এডহক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এডহক কমিটির অনুমোদন পর থেকেই অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর ও পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন মিয়া’র সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।