ঝিনাইদহে ক্ষুরা রোগে লাখ লাখ টাকা দামের গরুর মৃত্যু দিশেহারা খামারীরা Share মোঃ নাজমুল হাসান,ঝিনাইদহ ঝিনাইদহে ব্যাপক হারে গরুর ক্ষুরা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।পশু সম্পদ বিভাগের নজরদারীর অভাবে গরু পালকরা কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকায় ৩০ লাখ টাকা মুল্যের ১৮/২০টি গরু মৃত্যু বরণ করেছে।এতে চরম বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা। তবে আসলেই এটি ক্ষুরা রোগ নাকি অন্য কোন রোগ তা নিশ্চিত নয় খামারিরা।তাদের অভিযোগ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের মহারাজপুর ইউনিয়নে কৃত্বিম প্রজণনের দায়িত্ব প্রাপ্ত জামিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে ততটা গুরুত্ব দিতে চাননি। বুধবার সকাল ১১টার দিকে এই রোগে মারা যাওয়া তিনটা গরু মাটিতে পুতে ফেলার সময় নজরে আসে গনমাধ্যমকর্মীদের। বিষয়খালী পূর্বপাড়া গ্রামের বারী সর্দার,ইসরাইল হোসেন,হাসেম আলী নামের ৩ জন খামারির গরু মারা গেছে বুধবার।এর আগে একই গ্রামের ঘোষপাড়ার পলাশ ঘোষ,পল্লব ঘোষ,কানন,মুক্তার,বিষয়খালী পূর্বপাড়া গ্রামের তেছের আলী,মনিরুল ও মুসাসহ বেশকিছু কৃষকরে গরু মারা গেছে ক্ষুরা রোগে।তেছের আলীর ছেলে রাশেদ জানান,গলায় ঘাঁ,পায়ে ঘাঁ,মুখ দিয়ে লালা ঝরা লক্ষণ নিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। তাদের ৫ মাসের একটি উন্নত জাতের গর্ভবতী গাভী মারা গেছে।তারা কৃত্বিম প্রজণনের দায়িত্বে থাকা জামিরুলের সাথে যোগাযোগ করে তার কোন সহযোগীতা পাননি বলে অভিযোগ করেন।এখনও এই গ্রামে আরো অনেকের গরু আক্রান্ত এবং তা ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুব্রত কুমার ব্যানার্জী বলেন,আমরা ১ সপ্তাহ আগে এই এলাকায় ভ্যাকসিন দিয়েছি।ক্ষুরা রোগ হলে মারা যাওয়া পর্যন্ত প্রায় ১ সপ্তাহ সময় লাগে। কিন্তু যাদের গরু মারা মারা যাচ্ছে তারা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেননি। বুধবার যে ৩টি গরু মারা গেছে এ খবর আমার সাংবাদকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।আমরা লোক পাঠাবো খোঁজ নিতে।তিনি বলেন,জামিরুল ডাক্তার নয়,সে প্রজণনকারী।তাই পশুর কোন রোগ দেখা দিলে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে। ভুক্তভোগী বারী সর্দার জানান,এখন কৃষি কাজে লোকসান হওয়ায় অনেকেই গরু পালন করছে।খড় বিচালিরও অনেক দাম। তিনি দাবী করেন, আমাদের গ্রামে অন্তত ৩০ লাখ টাকার গরু মারা গেছে।বারী সরদার উল্লেখ করেন তার গ্রামের একজন ভ্যান চালকের আড়াই লাখ টাকা দামের গরুটি মারা যাওয়ায় তিনি একেবারেই পথে বসেছেন।প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বলেন, সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে ক্ষুরা রোগের প্রতিকার সম্ভব।তাই খামারিদের অধিক সচেতন হতে হবে।