কোরআনের ভয় দেখিয়ে ছাত্র বলাৎকার, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার “জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র” এক শিশুকে বলৎকারের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ওই মাদ্রাসার সহকারী ও আবাসিক শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝি(২৫)কে গ্রেফতার করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ।
জানা যায়, বলৎকারের শিকার ওই শিশুটি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র এবং আবাসিক কক্ষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে থাকত। শিক্ষক শাহজালাল তাকে নানাভাবে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং কোরান শরীফ দ্বারা তার মাথা খারাপ করে ফেলবে বলে হুমকী দিয়ে বলৎকার করে। বিষয়টি তার মা’ ও বাবা’কে বললে, তারা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা একটি লিখিত অভিযোগ করলে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এস,আই) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝি (২৫)কে আটক করে।
আটক ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ শাহজালাল মাঝি(২৫) উপজেলার ধামতী (উত্তর পাড়া মাঝি বাড়ি) গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম মাঝির পুত্র।
এ ব্যাপারে ‘জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র প্রধান মাওলানা আবু সাঈদ সোহেল জানান, ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে তার সর্বোচ্চ বিচার দাবী করছি। আমার মাদ্রাসায় তিনি সহ ৩জন শিক্ষক ও প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থী রয়েছে, এর আগে তার বিরুদ্ধে এরকম কোন অভিযোগ পাইনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজালালের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন জানান, তার ভাই সাংসারিক জীবনে বিবাহীত এবং ৮মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এরকম কোন ঘটনা অতীতে শুনি নাই।
এব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, বলৎকারের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামী ও ভিক্টিম সহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুব হোসেন খানের আদালতে ভিক্টিমের ২২ধারায় জবানবন্ধী, ডাক্তারী পরীক্ষা করা এবং আসামীর ১৬৪ধারায় জবানবন্ধী নথিভূক্ত করা হবে।